অক্ষয় তৃতীয়া হিন্দু ধর্মের অন্যতম শুভ দিন, যেখানে নতুন কিছু শুরু করা, পবিত্র কর্মে যুক্ত হওয়া অত্যন্ত মঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে শুরু করা যেকোনও শুভ কাজ অনন্তকাল ধরে প্রসার লাভ করে। তবে, একই সঙ্গে এই দিনে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত জীবনে দারিদ্র্য, অশান্তি ও সংকট ডেকে আনতে পারে। তাই অক্ষয় তৃতীয়ায় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
Do:
নতুন এবং পবিত্র জিনিস কিনুনএই দিনে সোনা, রূপা, শুভ্র বস্ত্র বা পবিত্র কোনও সামগ্রী কেনা অত্যন্ত শুভ বলে ধরা হয়। এগুলি শুধু ঘরের ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে না, বরং জীবনে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে। বাড়ি পরিষ্কার করে নতুন গাছ লাগানো, দান করা বা পবিত্র কাজ শুরু করাও অত্যন্ত শুভ ফলদায়ী।
Don’t:
ভাঙা বা পুরনো জিনিস ঘরে আনবেন নাঅক্ষয় তৃতীয়ায় পুরনো, নষ্ট বা ভাঙা জিনিস ঘরে আনা অত্যন্ত অশুভ বলে বিবেচিত হয়। এগুলি নেতিবাচক শক্তি বাড়িয়ে সংসারে দারিদ্র্য ও অশান্তি ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে পুরনো বাসনপত্র, নষ্ট ইলেকট্রনিকস, শুকনো বা মরা গাছ এদিন ঘরে আনলে জীবনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।সুতরাং, অক্ষয় তৃতীয়ায় শুভ শক্তি ধরে রাখতে সঠিক কাজ করুন এবং ভুলের ফাঁদ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।—
অক্ষয় তৃতীয়ার গুরুত্ব ও বিধিনিষেধ নিয়ে এই লেখাটি খুবই ভালো ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। দিনটির মাহাত্ম্য এবং শুভ অশুভ দিকগুলো বোঝার জন্য এটা অনেক কার্যকরী একটি গাইড। কিন্তু কিছু বিষয়ে এখনও পরিষ্কার হয়নি! যেমন, সোনা বা রূপা কেনার পাশাপাশি কি নতুন বস্ত্র কেনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ? এটা কি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস, না এর পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে? এই নিয়মগুলো কি সব অঞ্চলের মানুষ একইভাবে মেনে চলে, নাকি অঞ্চল ভেদে পার্থক্য হয়?
পুরনো জিনিস না আনার পরামর্শটা খুবই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে, কিন্তু এর পেছনে আসলে কি কারণ আছে? নেতিবাচক শক্তির এই ধারণা কীভাবে তৈরি হলো? এবং আজকের যুগে, যেখানে মেরামত ও পুনর্ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে, এই বিশ্বাসের সঙ্গতি কতটুকু?
এতসব বিধিনিষেধ মানার পরও কেউ কি মনে করে যে এই দিনে ভুল করলে সত্যিই অনন্তকালের অশুভ ফল ভোগ করতে হবে? এই বিশ্বাস কি শুধুই মানসিক ভরসা দেয়, নাকি এর বাস্তবিক কোনো প্রভাব আছে?
কী মনে হয়, আধুনিক যুগে এই সকল প্রথা ও বিশ্বাসের প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু? যারা বিজ্ঞানমনস্ক, তাদের জন্য এই রীতিগুলো কীভাবে গ্রহণযোগ্য হবে?