কলকাতার এক বিমানসেবিকা গুরুগ্রামের একটি নামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হন, যা ডিজিটাল অপরাধের নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, আইসিইউ-তে অর্ধচেতন অবস্থায় থাকা সেই বিমানসেবিকাকে হাসপাতালের এক প্রযুক্তিকর্মী তার দায়িত্বের সুযোগ নিয়ে হেনস্থা করে। পরে তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার আগে ও পরে পর্নোগ্রাফি দেখেছিল, যা তার বিকৃত মানসিকতার ইঙ্গিত দেয়। অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণে পাওয়া যায় পর্ন সার্চ, ভিডিও লিঙ্ক ও হালনাগাদ ইতিহাস, যা প্রমাণ করে এ ঘটনা কোনো আকস্মিক নয় বরং পরিকল্পিত। হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল জায়গায় এই ধরণের আচরণ নারীদের নিরাপত্তা ও মানবিকতার প্রশ্ন তোলে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালত তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। ২০১৩ সালের নীর্ভয়া আইনের পর ধর্ষণের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। সমাজের বিভিন্ন মহলে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নারীর নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। প্রযুক্তি যেমন সুযোগের দ্বার খুলে দিয়েছে, তেমনই তার অপব্যবহার যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ার ডাক উঠছে সমাজজুড়ে।
অন্ধকারের আড়ালে বিমানসেবিকা
