ভারতের ওয়াকফ আইন নিয়ে আবার ঝড় উঠেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করার পর ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ এখন আইনে রূপ নিয়েছে। কিন্তু এই আইনের খাতা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতি, প্রতিবাদ আর আদালতের দ্বার কড়া নাড়ার এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
সরকার বলছে—এই সংশোধনই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তির দুর্নীতি বন্ধের চাবিকাঠি। ‘ইউজার ভিত্তিক ওয়াকফ’—এই বহু পুরোনো ধারণা এবার আইনের খাতায় নেই। মানে, শুধু ধর্মীয় ব্যবহার থাকলেই আর কোনো জায়গা ওয়াকফ ঘোষিত হবে না। লিখিত প্রমাণ লাগবেই। সরকার বলছে, এতেই স্বচ্ছতা আসবে, বন্ধ হবে দখলবাজি।কিন্তু বিরোধীদের চোখে এই আইন শুধু কাগজের খেলা নয়, এটি বিশ্বাসে আঘাত। বহু ধর্মীয় জায়গা, বহু ইতিহাস—যেগুলো বছর পর বছর ধরে সমাজের সেবায় ব্যবহৃত—এখন প্রশ্নের মুখে। কংগ্রেস, এআইএমআইএমসহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে।রাজপথ থেকে আদালত—সব জায়গাতেই প্রতিবাদের গর্জন।
কিছু ধর্মীয় নেতারা বলছেন, ‘এই আইন আস্থা ভাঙার চেষ্টা’। অন্যদিকে, শাসকদলের ভাষায়, ‘এটা আধুনিকীকরণের সূচনা’।এই আইনের বাস্তব প্রভাব কী হবে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে—এই সংশোধন সত্যিই সমাধান, নাকি আরও জটিলতা?একদিকে প্রশাসনের কলম, অন্যদিকে বিশ্বাসের বাঁধন—এই যুদ্ধের শেষ কোথায়, সেটাই দেখার অপেক্ষা। ওয়াকফের এই নতুন খেলায় জয় কার, হারই বা কার—সেটাই এখন দেশের চোখে সবচেয়ে বড় কৌতূহলের বিষয়।