ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ওডিশার প্যারাদ্বীপ বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চীনা পতাকাবাহী তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি সিরেন II’ বুধবার সকালে বন্দরের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (SPM) টার্মিনালে নোঙর করে। জাহাজটি ১,৯৬,৫৮০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর হয়ে প্যারাদ্বীপে পৌঁছায়। জাহাজটির ২৫ জন ক্রুর মধ্যে ২১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। বাকি চারজনের মধ্যে দুজন ভারতীয় ও দুজন থাই নাগরিক রয়েছেন। ইমিগ্রেশন বিভাগের সতর্কবার্তার পর, ওডিশা মেরিন পুলিশ, সিআইএসএফ, কোস্ট গার্ড ও কাস্টমস বিভাগ যৌথভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। পাকিস্তানি ক্রুদের জাহাজ থেকে নামতে নিষেধ করা হয়েছে এবং তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা জব্দ করা হয়েছে। অপরিশোধিত তেল খালাসের পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন তারা জাহাজেই অবস্থান করবেন। জেলা পুলিশ সুপার ভবানী শঙ্কর উদগত জানান, “বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। যদিও কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ পাওয়া যায়নি, তবুও নিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাশ্মীরের পাহালগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন, যার জন্য ভারত পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত “অপারেশন সিন্ধুর” নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়। এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। জাহাজটি বর্তমানে বন্দরের প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে SPM-এ নোঙর করা রয়েছে এবং তেল খালাসের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
জলে চীন-পাক ছায়া

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষিতে প্যারাদ্বীপ বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে। চীনা পতাকাবাহী জাহাজে পাকিস্তানি ক্রুদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, বিশেষ করে যখন তাদের জাহাজ থেকে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কি কূটনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে? অপরিশোধিত তেল খালাসের প্রক্রিয়া চলাকালীন ক্রুদের জাহাজে রাখার সিদ্ধান্ত কি যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা? বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে। এই ঘটনা কি দুই দেশের মধ্যে আরও বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে? আপনি কি মনে করেন এই উত্তেজনা কমানোর জন্য আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?