নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে চন্দন মালির ২০ বছরের কারাদণ্ড

নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে চন্দন মালির ২০ বছরের কারাদণ্ডকমলপুর, ৬ মার্চ: নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত চন্দন মালিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন কমলপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তথা বিশেষ বিচারক সাম্যবিকাশ দাস। পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আইপিসির ৫০৬ ধারায় এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ঘটনাটি ঘটে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, সকাল ৮টা নাগাদ। কমলপুর থানার ছোট সুরমা সুধনপাড়ার বাসিন্দা চন্দন মালি পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে গিয়ে সেখানে একা থাকা এক নাবালিকাকে গলায় চাপা দিয়ে ধর্ষণ করে। নাবালিকার মা চিৎকার শুনে ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে কমলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে।মহিলা এসআই পম্পি নাথের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল কমলপুর থানার কেস নম্বর ৫০/২০২২-এর অধীনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৭, ৩৭৬এবি, ৩২৩, ৩০৭ ধারায় এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালীন মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।প্রমাণাদি সংগ্রহ শেষে তদন্তকারী দল আদালতে চার্জশিট পেশ করে। বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ৫ মার্চ ২০২৫ আদালত চন্দন মালিকে দোষী সাব্যস্ত করে। আজ, ৬ মার্চ, বিচারক তার শাস্তি ঘোষণা করেন।এই রায়কে ঘিরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয়রা আদালতের রায়কে স্বাগত জানালেও, দোষীর কঠোরতম শাস্তির দাবিও উঠেছে।সরকারপক্ষে এই মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এডিশনাল পিপি) ইন্দুভূষণ দেব। তিনি জানান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রসিকিউশন যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং আদালতের রায় ন্যায়বিচারের জয়।এই মামলার রায় সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর সাজা অপরাধীদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *