গান্ধীগ্রাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এনএসএস-এর সাতদিন ব্যাপী বিশেষ শিবির। “নেশা নয়, জীবন বেছে নাও”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে।বুধবার চারা গাছে জল দেওয়ার মধ্য দিয়ে শিবিরের সূচনা করেন বিদ্যালয়ের এসএমসি চেয়ারম্যান বাবুল কুড়ি, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা চুমকি চাকমা এবং টিচার্স কাউন্সিল সেক্রেটারি নারায়ণ দেব। উদ্বোধনী ভাষণে বাবুল কুড়ি ছাত্রছাত্রীদের সমাজ সচেতনতামূলক কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।শিবিরের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় “ড্রাগসের কুপ্রভাব” শীর্ষক আলোচনা চক্র। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘যুবপ্রেরণা’র চেয়ারম্যান সায়ন চক্রবর্তী এবং সদস্য সায়নদ্বীপ। সায়ন চক্রবর্তী সমাজে মাদকের প্রভাব, তরুণদের উপর তার নেতিবাচক ছায়া এবং মাদকাসক্তির ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নতুন প্রজন্মই পারে নেশামুক্ত এক শক্তিশালী সমাজ গড়ে তুলতে।”প্রোগ্রাম অফিসার জয় ঘোষ রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন এবং জানান যে আগামী ৩ মে একটি মেগা রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। শিবিরের বাকি দিনগুলোতে রোড শো, বৃক্ষরোপণ, স্বচ্ছতা অভিযান ও অন্যান্য সমাজসেবামূলক কর্মসূচি সংগঠিত হবে।এনএসএস-এর এই বিশেষ উদ্যোগে গান্ধীগ্রাম বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেন নতুন সমাজ গঠনের এক অঙ্গীকারে শামিল হয়েছে। সচেতনতা, দায়িত্ব এবং সেবার আদর্শকে সামনে রেখে এই শিবির একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা বহন করছে—“আজ সচেতনতা, আগামী নেশামুক্ত সমাজ”।
“নেশামুক্ত আগামী, সচেতন সমাজ গঠনের শপথ”

গান্ধীগ্রাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে নেশামুক্ত রাখার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি খুবই প্রয়োজন। ড্রাগসের কুপ্রভাব নিয়ে আলোচনা এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। তবে, এই ধরনের কর্মসূচি কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে কি কোনো পরিসংখ্যান বা ফলাফল আছে? এনএসএস-এর এই উদ্যোগ কি শুধু বিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি এটি আরও বিস্তৃত হবে? এই ধরনের কর্মসূচি কি নিয়মিত আয়োজন করা হবে?
গান্ধীগ্রাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনএসএস-এর সাতদিন ব্যাপী শিবির শুরু হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। “নেশা নয়, জীবন বেছে নাও” স্লোগানটি খুবই শক্তিশালী এবং প্রাসঙ্গিক। বাবুল কুড়ি, চুমকি চাকমা এবং নারায়ণ দেবের উদ্যোগে শিবিরের সূচনা করা হয়েছে, যা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ড্রাগসের কুপ্রভাব নিয়ে আলোচনা চক্র এবং সায়ন চক্রবর্তীর বক্তব্য তরুণ প্রজন্মের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। রক্তদান শিবির এবং অন্যান্য সমাজসেবামূলক কর্মসূচি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। এই শিবির কি শুধু গান্ধীগ্রাম বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য, নাকি অন্য বিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অংশ নিতে পারবে?