
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রায় ৪৫০ যাত্রী জিম্মি হন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বোলান জেলার ধাদর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হঠাৎই সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ট্রেনে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, যাত্রীদের বন্দি করে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত সেনা অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ১০০ জনের বেশি যাত্রী উদ্ধার হয়েছে, তবে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ।নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে কমপক্ষে ১৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই ভয়াবহ ঘটনায় ট্রেনের চালকসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অনেকেই। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে, বিশেষ করে মুশকাফ টানেল এলাকায় নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধঘোষিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (BLA) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে, যা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আরও এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে রাজনৈতিক আশ্বাসের বাইরে বাস্তবে কতটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা।সম্প্রতি বেলুচিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা ও নাশকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঞ্চল ক্রমেই পাকিস্তানের জন্য একটি বড় হুমকিতে পরিণত হচ্ছে। বারবার হামলার শিকার হওয়া সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেনাবাহিনী ও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে, যা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক সংকেত। এখন দেখার বিষয়, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী এই হুমকি মোকাবিলায় কতটা কঠোর পদক্ষেপ নেয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কতটা সফল হয়।