১ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল! কঙ্গনার অভিযোগে হিমাচল বোর্ডের পাল্টা জবাব — ‘উনি নিজেই বিল জমা দেন না
’Kangana Ranaut Electricity Bill Controversy Rocks Himachal Politics
বলিউড অভিনেত্রী এবং সদ্য নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত ফের শিরোনামে উঠে এসেছেন। তবে এবার কোনও সিনেমা বা রাজনীতি নয়, বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে তাঁর মানালির বাড়ির একটি বিশাল বিদ্যুৎ বিল — যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ টাকা। কঙ্গনার দাবি, এই বিল অস্বাভাবিক এবং সাধারণ মানুষের মতো তিনিও সরকারি অনিয়মের শিকার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন, “রাজ্যে দুর্নীতি চরমে, মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঠকানো হচ্ছে।”তবে হিমাচল প্রদেশ স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (HPSEBL) এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, কঙ্গনা নিজেই কয়েক মাস ধরে বিল পরিশোধ করেননি। ফলে বকেয়া টাকা, বিলম্ব ফি এবং বর্তমান মাসের ইউনিট খরচ মিলিয়ে বিলের অঙ্ক বেড়ে ১ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। বোর্ড বলেছে, “এই বিল নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। এখানে কোনও রাজনৈতিক বা ইচ্ছাকৃত চাপ নেই।”এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে যায়। কঙ্গনা আরও অভিযোগ করেন, হিমাচল সরকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তহবিল তুলে তা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ‘ত্রাণ তহবিলে’ পাঠাচ্ছে। কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কঙ্গনাকে চ্যালেঞ্জ করেন, “একটা টাকারও প্রমাণ দিন, নইলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে কংগ্রেস আইনি পদক্ষেপ নেবে।”ঘটনার রেশ গিয়ে পৌঁছেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কঙ্গনার বিদ্যুৎ বিল নিয়ে শুরু হয়েছে নানা মেমে, ট্রোল ও সমালোচনা। কেউ কঙ্গনার বক্তব্যকে সমর্থন করছেন, কেউ আবার তাঁর বিলম্বিত বিল জমা দেওয়ার জন্য দায়ী করছেন তাঁকেই। একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “সময়মতো বিল না দিলে তো এমন হবেই, এতে রাজনীতি কোথায়?”এতকিছুর মাঝে প্রশ্ন উঠছে— একজন তারকা ও সাংসদের ব্যক্তিগত আর্থিক গাফিলতির দায় কি পুরো প্রশাসনের ওপর চাপানো উচিত? কঙ্গনার জনপ্রিয়তা থাকলেও, একাংশের মতে তাঁর এই অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিভ্রান্তিকর।এই বিতর্ক প্রমাণ করে, জনপ্রিয় মানুষদের প্রতিটি মন্তব্য কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। একদিকে কঙ্গনা তাঁর অবস্থানে অনড়, অন্যদিকে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহল তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।