Melaghar থানায় খুনের মামলা নিতে পুলিশের অস্বীকার! সিপাহিজলা এসপি’র দ্বারে পৌঁছাল গৃহবধূর শোকাহত পরিবার। ঘটনাটি চড়িলাম ব্লকের আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫) নামের ওই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।২০২২ সালে সামাজিক রীতিনীতি মেনে জান্নাতুলের বিয়ে হয় বড়ঢেপা তেলকাজলা এলাকার যুবক জাকির হোসেনের সঙ্গে। প্রথম কিছুদিন ভালো সম্পর্ক থাকলেও, শীঘ্রই শ্বশুরবাড়ির চাপ শুরু হয় টাকাপয়সা ও বাইকের জন্য। অভিযোগ, বিয়ের তিন মাস পর থেকেই মারধর, শারীরিক নির্যাতন নেমে আসে গৃহবধূর উপর। সন্তানের জন্মের পর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। বাবার বাড়ি থেকে টাকা ও বাইক পেলেও অত্যাচার থামেনি।২ জুলাই খবর আসে জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করা হয়েছে। তারা জানায়, মৃতদেহ বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পেলেও ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি সন্দেহজনক। শ্বশুরবাড়ির কেউ জানাজা বা দাফনে উপস্থিত থাকেনি।গৃহবধূর পরিবার মেলাঘর থানায় তিনদিন ধরে মামলা করতে গিয়ে ফিরে আসে। পুলিশের বিরুদ্ধে FIR নিতে অস্বীকার ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে, সোমবার বিকেলে মৃতার বাবা কামাল হোসেন ও কাকা জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযুক্ত জাকির হোসেন সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন সিপাহিজলা জেলা এসপি-র দপ্তরে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর আশ্বাস দেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।এই ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মাতৃহারা তিন বছরের শিশু জুবায়ের এখন মামার বাড়িতে। পরিবার এবং এলাকাবাসীর দাবি, খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তি দিতে হবে।