উইমেন্স কলেজ এনএসএস (NSS) ইউনিটের উদ্যোগে ১৯ মার্চ ২০২৫ থেকে সাত দিনব্যাপী বিশেষ শিবিরের (Special Camp) শুভ উদ্বোধন হয়। এই বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেটর হিমানী দেববর্মা মহোদয়া। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উদ্বোধনী ভাষণে সমাজসেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শ্রী সুকান্ত সরকার মহোদয়। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের প্রতি আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দেন এবং ভবিষ্যতে কীভাবে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিবেদিতা ধর মহোদয়া, যিনি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।সমগ্র অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উইমেন্স কলেজের মাননীয়া অধ্যক্ষা শর্বরী নাথ মহোদয়া। তিনি এনএসএস ইউনিটের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের জাতি গঠনের জন্য সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকার পরামর্শ দেন।এই দিনে অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সংবাদবাহী পত্র (Newsletter) উন্মোচন, যা অতিথিদের দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এতে এনএসএস ইউনিটের বিভিন্ন কর্মসূচি, সমাজকল্যাণমূলক উদ্যোগ এবং শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরা হয়।শিবিরের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ব ও নৈতিকতার শিক্ষা প্রদান করা। অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাগণ শিক্ষাদানের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে একজন আদর্শ নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মশালা, সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সচেতনতা, বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং কমিউনিটি সেবামূলক কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল।ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তারা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে নিজেদের দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশের সুযোগ পায়।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ছাত্রীরা সংগীত, নৃত্য ও নাটকের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে।সমগ্র অনুষ্ঠানটির সফল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার রমা ভট্টাচার্য। তাঁর দক্ষ তত্ত্বাবধানে শিবিরটি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়, যা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
“সেবা ও সচেতনতায় এগিয়ে চলার অঙ্গীকার
