
ধর্মনগর থানার আনন্দবাজার নাকা পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশিতে পাঁচটি বার্মিজ গরুসহ একটি বোলেরো পিকআপ আটক হয়েছে। তবে পুলিশের সামনেই গাড়ি চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।ধর্মনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সিতি কান্ত বর্ধন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর রাতে ধর্মনগর থানার পুলিশ আনন্দবাজার এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সে সময় ধর্মনগর থেকে কৈলাশহরের দিকে যাচ্ছিল TR 05G 1794 নম্বরের একটি বোলেরো পিকআপ। পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটিকে সিগনাল দিয়ে থামানো হয়। গাড়ি থামার পরই চালক দ্রুত নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির পেছনে গিয়ে দেখে, সেখানে পাঁচটি বার্মিজ গরু বোঝাই করা রয়েছে।এরপর চালককে কিছু সময় খোঁজার চেষ্টা করা হলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। অবশেষে পুলিশ গরুসহ গাড়িটি ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে গরুগুলোর প্রকৃত মালিক কে এবং কোথা থেকে আনা হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, পুলিশের সামনে গাড়ি রেখে চালক কীভাবে পালিয়ে গেল? পুলিশের দায়িত্ববোধ ও তৎপরতা নিয়েও অনেকে ব্যঙ্গ করছেন।পুলিশ জানিয়েছে, এনিম্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং গরুগুলোর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি চালকের সন্ধানে অভিযান চলছে। তবে স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই ধর্মনগর ও আশপাশের এলাকায় গরু পাচারের খবর শোনা যায়। পুলিশের তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও পাচার বন্ধ হচ্ছে না, যা প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয়।এই ঘটনায় পুলিশের সফলতা নাকি ব্যর্থতা, তা নিয়ে এখন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তদন্তের পরই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।