
আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রতি বছর ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়, যা নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সাফল্যকে সম্মান জানায়। ২০২৫ সালে, এই বিশেষ দিনের মূল প্রতিপাদ্য হলো “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” কর্মসূচির দশম বার্ষিকী উদযাপন। এই কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ২০১৫ সালে চালু হওয়া এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল কন্যা সন্তানের সুরক্ষা ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা। গত দশ বছরে এটি সমাজে নারীদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কন্যা সন্তানের প্রতি নেতিবাচক মানসিকতা পরিবর্তন, লিঙ্গ ভিত্তিক গর্ভপাত রোধ এবং শিক্ষার মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য।২০২৫ সালে, এই কর্মসূচির দশম বার্ষিকী উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্য ও জেলা স্তরে সাংস্কৃতিক সমারোহ, পদযাত্রা, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে মুদ্রণ, ডিজিটাল এবং সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ প্রচারাভিযান চলবে, যা সমাজে নারীর ভূমিকা ও তাদের সাফল্যকে উদযাপন করবে। এ বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশেষ দিনে এক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যেখানে তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা নারীদের হাতে তুলে দেবেন। এই মহিলারা প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে তাদের সংগ্রাম, সাফল্য এবং অনুপ্রেরণার কাহিনী কোটি কোটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন, যা সারা দেশের মহিলাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।এই বছরের নারী দিবসে, “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” কর্মসূচির সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি, সমাজে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হবে। নারীর প্রতি সম্মান ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এই উপলক্ষে, আমরা প্রত্যেকে প্রতিজ্ঞা করি যে, আমাদের চারপাশের নারীদের সমর্থন ও সম্মান জানিয়ে একটি সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলব।”নারী শক্তি: সমৃদ্ধির পথ”আসুন, আমরা সবাই মিলে নারীর ক্ষমতায়নের এই যাত্রায় শামিল হই এবং একটি সমতাপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলি।