সিপাহীজলায় সরস মেলার শুভ উদ্বোধন, স্বাবলম্বী মহিলাদের উদ্যোগ প্রশংসিত

সিপাহীজলা জেলা প্রশাসন ও ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উদ্যোগে সিপাহীজলা জেলা ভিত্তিক দ্বিতীয় সরস মেলা মঙ্গলবার বিশ্রামগঞ্জ মিনি স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয়। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাসের হাত ধরে তিনদিনব্যাপী এই মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে তিনি মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন, অন্তরা সরকার দেব, কিশোর বর্মন, সুশান্ত দেব এবং জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক রিংকু রাঠোর-সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।সরস মেলার মূল উদ্দেশ্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও স্ব-সহায়ক দলের (SHG) উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিক্রয়। মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা তাদের হাতে তৈরি নানান সামগ্রী বিক্রির জন্য এনেছেন। পাটের ব্যাগ, মাটির পাত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, হাতে তৈরি আসবাবপত্র, হস্তশিল্প, শাড়ি, শুঁটকি মাছ, মধু, মশলা ও নানা কৃষিপণ্য স্থান পেয়েছে এই মেলায়।এছাড়াও জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে আসা গ্রামীণ স্বাবলম্বী মহিলারা তাদের স্ব উদ্যোগে তৈরি সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এই মেলা তাদের জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রীর বিপণন করতে পারছেন এবং সরাসরি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছেন।তিন দিনব্যাপী এই মেলায় শুধুমাত্র কেনাকাটাই নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশিত নৃত্য, গান ও লোকসংগীত দর্শকদের বিনোদন দেবে। মেলার অন্যতম আকর্ষণ গ্রামীণ সংস্কৃতির উপস্থাপনা, যেখানে লোকসংগীত ও লোকনৃত্যের মাধ্যমে ত্রিপুরার ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে।উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, “সরস মেলা শুধু কেনাকাটার মেলা নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতির এক শক্তিশালী চালিকা শক্তি। এই মেলার মাধ্যমে স্বাবলম্বী মহিলারা তাদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন।”সরস মেলার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপস্থিত অতিথিরা। তারা আশাবাদী যে, এই মেলা আগামী দিনে ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং স্থানীয় উদ্যোগীদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *