১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে বাংলাদেশে হঠাৎ কেঁপে উঠল মাটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.০, যার কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল—চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায়। উৎপত্তিস্থলের ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ছিল ২৪.০৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৩৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, আর ভূগর্ভস্থ গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পটি কিছু সেকেন্ড স্থায়ী হলেও চমকে ওঠেন সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের কিছু অংশেও এর কম্পন অনুভূত হয়। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনসাধারণের মাঝে, অনেকে বাসা-বাড়ি ও অফিস ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। ভূকম্প পর্যবেক্ষণ অ্যাপ ‘ভূকম্প’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবহারকারীরা ভূমিকম্প অনুভবের তথ্য জানিয়েছেন, যা পরিস্থিতি বিশ্লেষণে কাজে আসছে। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি কিংবা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত না দিলেও, এটি ভূগর্ভস্থ প্লেটের সক্রিয়তার একটি প্রমাণ। তাই ভবিষ্যতের ঝুঁকি মোকাবেলায় এখনই সচেতন হওয়ার সময়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে ও জরুরি সময়ে কী করতে হবে তা জানার পরামর্শ দিয়েছে। বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, আজকের এই ভূমিকম্প আবারও মনে করিয়ে দিল, আমরা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে আছি, এবং প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রস্তুতি থাকতে হবে আমাদের সবার।
হঠাৎ কাঁপলো দেশ: চট্টগ্রামসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অনুভূত ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প
